শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১২

""যমালয়"" পর্ব-০২" দৃশ্য -০২ "

""দৃশ্য - ২""
(শ্রীকান্তের বাড়ি)

(মঞ্চে প্রবেশ করবেন শ্রীকান্ত ও তার স্ত্রী নিলিমা)

শ্রীকান্তঃ নিলিমা শুনো, আজ ঠাকুরমশাই আমাদের বাড়ি আসবেন,
নিলিমাঃ কেনগো ?
শ্রীকান্তঃ মনসা পূজা আসছেনা ঠাকুরমশাই নিজ হাতে পূজার খরছের লিস্ট করে দেবেন, আমাদের ভাগ্য কত ভালো বলো,
নিলিমাঃ হ্যাঁগো, আজ একাদশীর দিন ঠাকুরমশাইকে সেবা করালে খুব ফল হবে,

(ঠাকুরমশাই ও কালীচরনের প্রবেশ এবং শ্রীকান্ত ও নিলিমা প্রনাম করবেন)

ঠাকুরঃ বেঁচে থাকো বাবা বেঁচে থাকো,মা কালী মা গো পাপিষ্ঠ দূর করো মা,
কালীঃ পাষণ্ড বিনাশ করো,
ঠাকুরঃ শ্রীকান্ত, আজ বেশি দেরি করবোনা, কাগজ-কলম নিয়ে আসো, আর শুনো, আজ বেশি কিছু সেবা করবোনা, যদি আটা-ময়দা থাকে তাহলে রুটি সেবা করবো,
শ্রীকান্তঃ আজতো একাদশী, আর একাদশীর দিন আপনি রুটি সেবা করবেন!!!
ঠাকুরঃ হায় হায় কি সর্বনাশ, আমারতো মনেই নেই,শ্রীকান্ত, আমার অনেক বয়স হয়ে গেছে তাই অনেক কিছুই মনে থাকেনা, কালীচরণকে বলেছিলাম আমাকে মনে করিয়ে দিতে, মূর্খটা কি-যে করে, শুধু খাই আর খাই,
শ্রীকান্তঃ ঠাকুরমশাই আপনার জন্য ফল এনে রেখেছি,
ঠাকুরঃ খুব ভালো করেছো, যাও কাগজ-কলম নিয়ে আসো,
শ্রীকান্তঃ আজ্ঞে আনছি (শ্রীকান্তের প্রস্থান)
ঠাকুরঃ মা জননী তুমি আমার সেবা করার ব্যাবস্থা করো, বেশি দেরি করবোনা যাও মা,
নিলিমাঃ আজ্ঞে আমি খুব তাড়াতাড়ি করছি (নিলিমার প্রস্থান)
কালীঃ যতদুষ নন্দঘোষ, আপনি কখন আমাকে বললেন যে আপনি একাদশী !!!
আজ সকালেনা শিঙারা খেলেন,
ঠাকুরঃ চুপ, চু্‌প, চুপ করো, তুমিতো দেখছি আমার সব কিছু ফাঁস করে দেবে,

(শ্রীকান্ত ও নিলিমার প্রবেশ)

(পূজার লিস্ট লিখে এবং সেবা করে)

ঠাকুরঃ আজ আসি শ্রীকান্ত, যেভাবে লিস্ট লিখেছি সেভাবে খরচ করে নিও, আজ চলি, নন্দলালের বাড়িতে আবার যেতে হবে, দেখি নন্দলাল পূজা করবে কি না,

(শ্রীকান্ত ও নিলিমা প্রনাম করবে)

ঠাকুরঃ মা কালী মা গো পাপিষ্ঠ দূর করো হে মা
কালীঃ পাষণ্ড বিনাশ করো,

(ঠাকুর মশাই প্রস্থান করবেন)

কালীঃ শ্রীকান্ত বাবু বলির পাঠাটা একটু বড় দেখে আনবেন, গতবারের পাঠার মাথা দিয়ে আমরা এক তরকারীও খেতে পারিনি
(কালী চরণ প্রস্থান করবেন)

********পর্দা*********

(এটা শুধু মাত্রই একটা গল্প, কারো সাথে মিলে গেলে তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র)

কোন মন্তব্য নেই: